ইমরান ইমন:
মহামারী করোনায় পুরো পৃথিবীটা হাহাকার করছে।দিন দিন বেড়েই চলেছে এর তীব্রতা, ভয়াবহতা। লাশের মিছিল বরাবরই দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে।চীন থেকে এই মহামারীর উৎপত্তি ঘটলেও বর্তমানে পৃথিবীর ২০৯ টি দেশকে গ্রাস করে ফেলেছে বিধ্বংসী করোনা।
পৃথিবীর সুন্দরতম জনপদ গুলো পরিণত হয়েছে মৃত্যু পুরীতে। বাংলাদেশেও এই করোনা তার প্রভাব বিস্তার করে নিয়েছে।দিন দিন আক্রান্তের সংখ্যা, মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলছে।
এখন পর্যন্ত আমাদের দেশে আক্রান্তের হার- ৬-৯-১৮-৩৫-৪১! লক্ষ্য করুন আক্রান্তের হারটা কিন্তু জ্যামিতিক হারেই বাড়ছে।যা আমাদের জন্য অশনি সংকেত!
এই মুহূর্তে করোনার প্রকোপ ঠেকাতে আমাদের সবার সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা প্রয়োজন,ঘরে অবস্থান করা তথা হোম কোয়ারেন্টাইন মেনে চলা প্রয়োজন। কিন্তু আফসোস,আমরা এখনো করোনার মহামারী অনুধাবন করতে পারছি না।
আমরা বিনা প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হচ্ছি, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছি না। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের চায়ের দোকানগুলোতে আগের তুলনায় এখন আরো মিছিল, মিটিং,জন সমাগম বেড়ে গিয়েছে। সরকারি ভাবে এবং বিভিন্ন সংগঠন মাইকিং করে নানা সচেতনতামূলক কথা বলে গলা ফাটালেও করোনা নিয়ে মানুষের মাঝে এখনো নেই সচেতনতা ।
মানুষ এখনো বেপরোয়া ভাবে চলাফেরা করছে। করোনা নিয়ে সচেতনত হওয়ার আমাদের এখনো সময় আছে।
নয়তো আমাদের চীন-ইতালি-ফ্রান্স-যুক্তরাষ্ট্রের মতো অবস্থা হবে। সভ্য এসব দেশের মানুষজন প্রথমে করোনাকে একেবারে উড়িয়ে দিয়েছিল।
আজকে আপনারাই দেখছেন এসব দেশের অবস্থা কি ভয়াবহ!
আমাদের কিন্তু এখানো সময় আছে।এখনো যদি আমরা সচেতন না হই তাহলে অবস্থা এমন হবে যে আমরা কাঁদবো ঠিকই কিন্তু আমাদের চোখ দিয়ে তখন আর অশ্রু বের হবে না!
আসুন নিজে সচেতন হই, অন্যকেও সচেতন করে তুলি।স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখি,ঘরে অবস্থান করি।
নিজে নিরাপদ থাকি,প্রিয় মাতৃভূমিটাকে নিরাপদ রাখি।
লেখক: ইমরান ইমন
শিক্ষার্থী: ইংরেজি বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।